ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপারটার সাথে যারা পরিচিত তারা সোশ্যাল মিডিয়া বা ইউটিউবে এরকম চটকদার ক্যাপশন সহ পোস্ট বা ভিডিও দেখেছেন নিশ্চয়ই।
এসব পোস্ট বা ভিডিও দেখে মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, এগুলো কি আদৌ সম্ভব? আসলেই কী ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ এবং না।
ফ্রিল্যান্সিং পেশায় দক্ষ মানুষজন লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন এটা যেমন সত্য তেমনি অনেকে কোন কাজই পাচ্ছেন না এটাও সত্যি। আপনার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, স্কিল, প্রফেশনালিজম এবং কমিউনিকেশন করার দক্ষতা এখানে খুবই বড় একটা ফ্যাক্টর।
একটু ব্যাখ্যা করা যাক। রেগুলার চাকরির ব্যাপারটাই ধরুন। একজন ব্যক্তি চাকরিতে নিয়োগ বা প্রমোশন পাবেন কিনা সেটা নির্ভর করে তার দক্ষতা এবং স্কিলের উপর। যার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং স্কিল বেশি, তার ইনকাম বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্স দুনিয়াটাও ঠিক একইরকম। যেসব ফ্রিল্যান্সার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রজেক্ট সম্পন্ন করে থাকেন, তাদের আয় অন্যদের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
সবার আগে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে আপনাকে দক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে হবে নিজেকে। আপনার মধ্যে এমন কি বিশেষ ট্যালেন্ট, কোয়ালিটি, স্কিল রয়েছে যার কারনে ক্লায়েন্ট আপনার ওপরে ভরসা করে কাজ দিবেন তা তুলে ধরতে হবে।
চাকরির মতই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের শুরুতে বেতন বা আয় কম থাকে। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়ার পাশাপাশি এবং আয়ের পরিমাণও বাড়ে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অবশ্য বেশ স্ট্রাগল করতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা ফ্রিতে বা নামমাত্র মূল্যে কাজ করে থাকেন। পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়ার পাশাপাশি আয়ের পরিমাণও বাড়ে।
সুতরাং ফ্রিল্যান্স দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটির প্রয়োজন তা হলো একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিজেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হিসেবে মার্কেটপ্লেসে তুলে ধরা।
তাহলে শুধুমাত্র একটি বা হাতেগোনা কয়েকটি স্কিল শিখেই কী ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে আত্মপ্রকাশ করা এবং একটি শক্ত অবস্থান দাঁড় করা সম্ভব?
উত্তর হলো হ্যাঁ। আপনার যদি একটি বা হাতেগোনা কয়েকটি স্কিলে পারদর্শী থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার ইনকাম বাড়াতে পারবেন। তবে, একটি কথা মাথায় রাখতে হবে যে, আপনি যেই কাজটি ভালো করতে পারেন, সেটাই করবেন যাতে করে ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট হয়ে আরও কাজ দিতে পারে ও পরবর্তীতে সেই কাজের রেফারেন্সে আরও কাজ পেতে পারেন।